মীরসরাইয়ে ট্রেন ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ১১ জন ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৯ জুলাই) বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার বড়তাকিয়া রেল স্টেশনে মহানগর প্রভাতি ট্রেনের সঙ্গে পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসের এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
মিরসরাইয়ের ইউএনও মিনহাজুর রহমান জানান, হাটহাজারী থেকে আসা ওই মাইক্রোবাসে মোট ১৪ জন ছিলেন। মীরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “পর্যটকবাহী একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে প্রভাতি ট্রেনের সংঘর্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। তবে বিস্তারিত এখনও জানি না।” দুর্ঘটনায় নিহতরা খৈয়াছড়া ঝর্ণা দেখে ফেরার পথে তাদের মাইক্রোবাসের সঙ্গে ট্রেনের সংঘর্ষ হয়।
রেল কর্মকর্তা আনসার আলী বলেন, “ট্রেন আসায় গেইটম্যান সাদ্দাম বাঁশ ফেলেছিলেন। কিন্তু মাইক্রোবাসটি বাঁশ ঠেলে ক্রসিংয়ে উঠে পড়ে।” ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল জানায়, দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে খবর পেয়ে ২টা ২০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের মিরসরাই ও সীতাকুণ্ডের ২টি ইউনিট উদ্ধারকাজ শুরু করে। নিয়োজিত করা হয় ৩টি অ্যাম্বুলেন্স। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা ১২ জনকে উদ্ধার করেছে। এদের মধ্যে ১১ জন নিহত ও ১ জন আহত। আহত ব্যক্তিকে ফায়ার সার্ভিসের অ্যাম্বুলেন্সে করে স্থানীয় হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে।আর ১১ জনের মৃতদেহ স্থানীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মাইক্রোবাসের আরোহীদের মধ্যে ২ জন সুস্থ আছেন।
এদিকে দুর্ঘটনার পর থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।.
সূত্র জানায় ইঞ্জিনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি অনেক দূর চলে যায়।
Discussion about this post