বিশেষ প্রতিবেদকঃরাউজান থানাধীন পূর্ব রাউজান রাবার বাগান সংলগ্ন ঘোড়া সামছু টিলার উপর কতিপয় দুষ্কৃতিকারী দেশীয় তৈরী অস্ত্র কেনা-বেচা করছে মর্মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০ নভেম্বর ২০১৯খ্রি: রাত ০২:৪৫ টায় রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ কেপায়েত উল্লাহ সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্সসহ ঘোড়া সামছু টিলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করলে দুষ্কৃতিকারীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে।
আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে দুষ্কৃতকারীরা পিছু হটে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ধাওয়া করে মো: আলমগীর আলম ডাকাত, পিতা-আব্দুস ছাত্তার গ্রাম-পূর্ব রাউজান, ৯নং ওয়ার্ড, থানা-রাউজান জেলা-চট্টগ্রামকে আটক করার সময় সে ছোরা দিয়ে রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জকে আঘাত করে।
পুলিশ মো: আলমগীর আলম ডাকাতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও তার অপরাপর সহযোগীরা টিলার পথ ধরে জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত আসামী মো: আলমগীর আলম ডাকাত এর প্রদত্ত তথ্য মতে পুলিশ ঘোড়া সামছু টিলায় অভিযান পরিচালনা করে ১০টি শর্টগান সদৃশ বন্দুক, ০১টি গ্যাস গান সদৃশ অস্ত্র, ৬টি দেশে তৈরি পাইপ গান, ১টি পুরাতন ম্যাগজিন, ৭টি কার্তুজ, ৭টি কার্তুজের খোসা, একনলা বন্দুকের ৩টি অংশ, ২৭ টি কাঠের বাট , ১টি ছোট লেদ মেশিন, ১টি তেলের পাম্প বক্স, ০১টি লোহা কাটার বড় কাঁচি, ১টি চিমটি, ১টি লোহার ছোট কাঁচি, ০১টি পাইপের প্যাচ কাটার মেশিন, ১টি প্লাস্টিকের তেলের বোতল, ০২টি হ্যান্ড ড্রিল মেশিন, ৩টি ড্রিল করার কাঠি, কিছু কয়লা ও ১টি কয়লায় আগুন ধরানোর মেশিন, ১টি ছোরা,১টি দা’সহ অস্ত্র তৈরীর আনুষাঙ্গিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আলমগীর আলম ডাকাত(৪১) রাউজান থানার একজন তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ। তার নামে রাউজান, পাঁচলাইশ ও চাঁন্দগাও থানায় খুন, ডাকাতি ও অস্ত্র মামলাসহ সর্বমোট ১৭টি মামলা রয়েছে। দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে রাউজান থানার এসআই সাইমুল ইসলাম, কনস্টেবল কামাল, কনস্টেবল হামিদ হোসাইন আহত হন। আহতদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়েছে।
এই ঘটনার বিষয়ে এস আই সাইমুল বাদী হয়ে পৃথক পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। বুধবার রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ পৌর কাউন্সিলর জমির উদ্দিন ও রাউজান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএম জসিম উদ্দিন হিরুকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং রাউজান থানাকে ধন্যবাদ জানিয়ে জীবন বাজি রেখে এমন কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ খবরে স্থানীয় জনগণ পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে উল্লাস প্রকাশ ও মিষ্টি বিতরণ করেন।