বিল্লাল হোসেনঃঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’ দুর্বল হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে স্থলভাগের মধ্যাঞ্চলে অবস্থান করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।সূত্র জানায় গাছ ও ঘর চাপা পড়ে নোয়াখালী পটুয়াখালী,লক্ষ্মীপুর বরগুনায় ও ভোলায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।আরো ১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ক্রমেই আরো দুর্বল হচ্ছে ঘুর্ণিঝড় ‘ফনি’।
ভারতে আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’ শনিবার ভোর ৫:১০ মিনিটের দিকে সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয় বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব এলাকায় ভারি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে।
এদিকে ভোর ৫:২০ মিনিটের সময় ঘূর্ণিঝড় ফনি’র তান্ডবে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানের মধ্যে চুলাশ বাজারে পল্লীবিদ্যুৎ এর ফোর ফর্টি লাইন ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জানাগেছে তছলিম এন্টারপ্রাইজ,ইমন সরকারের খেলাঘর,হাবিব মিয়ার টেলিকম,মোবারক,জহির,মোতাল্লেব মিয়ার ওয়ার্কসপ,ফারুক,বশির ফাস্টফুড দোকান,মনির,ফকির মিয়ার চা-স্টল ও হোটেল,আজিজ সর্নকারের জুয়েলারি দোকান,এবং ব্রিক ফিল্ডের শ্রমিকদের ঘর,রাজামেহার দক্ষিন পাড়ার নৈয়ারপার বাড়ীর আবু তাহের মিয়ার বসতঘর ও শতাধিক বছরের পুরোনো আম গাছ,ছাফিয়া বেগম ( আবু ),মোঃ ফারুক,সফিক,ভিক্ষুক শেফালী বেগম,জামাল হোসেন(বিটু), খোঁদা ভূইয়াবাড়ীর আব্দুল জলিলের বসত ঘর এবং সোবহান ডাক্তারের কয়েকটি গাছসহ বাড়ীর পশ্চিম বাউন্ডারির ওয়াল ভেঙে পরে। ০৩ নং ওয়ার্ডের প্রফেসার কামাল সাহেরের বাড়ীর আঃ মালেক,দুলাল,ভাসানী,রিক্সাচালক লিলু,গরু বেপারী মফিজ,ভূইয়া গাজী বাড়ীর মোজাফফর,বদল বাড়ীর খোরশেদ,মালেক,মবিন কাজীর কয়েকটি গাছ ও একটি দোকান ঘর ঘূর্ণিঝড় ফনি র আঘাতে ঘরের আসবাবপত্র সহ লন্ডভন্ড হয়ে যায় ও বসত ঘর ও গাছ চাপায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫জন।
Discussion about this post