শেখ সেলিম-সম্পাদকীয়ঃখাদ্যসহ নিত্যপণ্যের সর্বাধিক বিরূপ প্রভাব পড়েছে অতি দরিদ্র মানুষের ওপর।রোজা উপলক্ষে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি নতুন কিছু নয়। এই অনিয়ম যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। রমজানে বেশি চাহিদা থাকে এমন পণ্যের দাম ইতিমধ্যে বেড়ে গেছে।এবার রমজানকে সামনে রেখে চাহিদার অতিরিক্ত নিত্যপণ্য আমদানি হয়েছে। যদি তাই হয়, তাহলে বলা যায় যে, নিত্যপণ্য সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা মজুদ রেখেছে। তা ছাড়া আরও একটি বিষয় হলো, আমাদের বাজারে আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধির হেতুটা কী, অবশ্যই তা প্রশ্নের বিষয়। গত কয়েক দিনে চিনি, পেঁয়াজ, ছোলা, ভোজ্যতেল ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। যেহেতু পাইকারি বাজারে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিরাজমান, সেহেতু খুচরা পর্যায়ের বাজারে এর বিরূপ ধাক্কা লেগেছে। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা যায়, পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায় পর্যন্ত বেশিরভাগ ব্যবসায়ী বাড়তি চাহিদার সুযোগ নিয়ে অনৈতিক মুনাফা অর্জনের অশুভ প্রতিযোগিতা শুরু করেন। আমাদের দেশে বাজারের ক্ষেত্রে ‘সিন্ডিকেট’ শব্দটি বহুল প্রচলিত। এর বিপরীতে বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোর দায়িত্বশীলরা এ ব্যাপারে তাদের কঠোর অবস্থানের কথা বললেও কার্যত তাদের ভূমিকা কিংবা কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ। অতীতের মতো এবারও যথারীতি রমজানের আগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংশ্নিষ্ট দায়িত্বশীলরা বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে ব্যবসায়ীরা যথারীতি বলেছেন, এবার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়বে না। রমজান মাস কে কেন্দ্র করে এমন প্রতিশ্রুতি-অঙ্গীকারও নতুন কিছু নয়। যেখানে অসাধু ব্যসায়ীদের দাপট এত বেশি এবং তাদের অনৈতিক ইচ্ছা এত প্রকট, সেখানে এসবই যে কথার কথা মাত্র তা তো বিদ্যমান পরিস্থিতিই বলে দেয়।
Discussion about this post