টাঙ্গাইল ব্যুরোঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুর ও দেলদুয়ারে লেবুচাষিরা ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। প্রায় ৩৫০ হেক্টর লেবু বাগান রয়েছে এ দুই উপজেলায়। হাটবাজারে লেবু বিক্রি করে বেশ লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। বর্তমানে লেবুর বাজারে চড়া মূল্য থাকায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর আগে থেকে উপজেলার গয়হাটা, মামুদনগর, সহবতপুর, মোকনা, লাউহাটি, ফাজিলহাটি ইউনিয়নের পুটিয়াজানীর বিস্তৃত এলাকা জুড়ে কৃষক তাদের জমিতে লেবু চাষ করে আসছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত লেবুর হাট বসে স্থানীয় বাজার ও পুটিয়াজানী বাজারে। পুটিয়াজানী হাটে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা আসেন লেবু কিনতে। চলতি মৌসুমে লেবুর বাজারে চাহিদা বেশি হওয়ায় হাটে ক্রেতাদের সমাগম বেশি দেখা যাচ্ছে। চাষিদের দেওয়া তথ্যে মতে, ১০০ লেবু ৩৫০-৫০০ টাকায় এবং কেজি প্রতি ৫০-৬০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি বস্তা লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৫ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিটি বস্তায় ১৬০০ থেকে ১৮০০ লেবু থাকে। আর লেবুর ধরন অনুযায়ী প্রতিটি লেবু ৫ টাকা থেকে ৮ টাকা হারে বিক্রি হচ্ছে।
লেবু চাষি মোঃ বোরহান উদ্দিন(৬৫), মোঃ আরিফুর রহমান(৪০), দেলুয়ার হোসেন দেলু(৪০) জানান, লেবু বাগানের মৌসুমের শুরুতেই লেবুবাজার মূল্য বেশি। এ ছাড়া এ অঞ্চলের লেবু সারা দেশে বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। বছরে লেবু বিক্রি করে ১ লাখ টাকা আয় করেন তিনি। কাউছার আহম্মেদ(৪৫), আলাল উদ্দিন ও আতোয়ার রহমান জানান, এ বছর লেবুর দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় তিনি বেজায় খুশি। তবে রমজানের শুরুতে লেবুর দাম আরো বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান, লেবুর চারা একবার রোপণ করলে ৩ বছর পর থেকে পূর্ণ ফল দেওয়া শুরু করে। একটি লেবুগাছ প্রায় ১২-১৫ বছর পর্যন্ত ফল দেয়। বোরহান উদ্দিন আরও জানান তাহার বাগানে প্রতিদিন ৪ জন করে দিন মজুর কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে।বছরে তিনি ২ লাখ টাকা আয় করেন লেবু বিক্রি করে।