৭১ বাংলাদেশ ডেস্কঃপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজে শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে আলেম-ওলামাদের ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়ে বলেছেন, তার সরকার কোনোভাবেই ইসলাম এবং রাসুল (সা.) এর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অপপ্রচার বরদাশত করবে না।
প্রধানমন্ত্রী ইসলামকে শান্তির ধর্ম উল্লেখ করে বলেন, ‘গুটিকতক লোক ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে আজকে সারা বিশ্বে ইসলাম ধর্মকে বদনাম দিচ্ছে। অথচ, ইসলাম কখনও সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রশ্নে তার সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির পুনরুল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই বাংলাদেশে কোনো জঙ্গিবাদের স্থান হবে না। সন্ত্রাসের স্থান হবে না। মাদকের স্থান হবে না। দুর্নীতির স্থান হবে না। বাংলাদেশ হবে একটা শান্তিপূর্ণ, উন্নত, সমৃদ্ধশালী দেশ।’
রোববার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমী মাদ্রাসার আলেমদের শোকরানা মাহফিলে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
কওমী মাদ্রাসা শিক্ষার সর্ব্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমানের স্বীকৃতি দিয়ে বর্তমান সরকার জাতীয় সংসদে আইন পাশ করায় ‘হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমী বাংলাদেশ’ এই শোকরানা মাহফিলের আয়োজন করে।
কোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে কেউ ‘ইসলামি টেররিস্ট’ বললে তিনি তীব্র প্রতিবাদ করেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইসলাম সন্ত্রাস লালন করে না, আর সন্ত্রাসীর কোনো ধর্ম নেই, দেশ নাই, সমাজ নাই, তাদের পরিচয় এই যে, সে তারা সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদী।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা প্রকৃত ইসলামে বিশ্বাস করে তারা কখনও সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদী হতে পারে না।’
আল্লাহতায়ালা আমাদের অনেক নেয়ামত দিয়েছেন এবং তা দিয়েই আমরা বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই উল্লেখ করে সরকার প্রধান সোশ্যাল মিডিয়ার নানা ধরনের অপপ্রচার এবং গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে যেকোনো বিষয়ে প্রকৃত সত্য যাচাই করে দেখার পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অপপ্রচার কেউ বিশ্বাস করবেন না। ইতোমধ্যে এই অপপ্রচার প্রতিরোধে আমরা সাইবার ক্রাইম আইন তৈরি করেছি। কেউ যদি কোনো ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত হয় তাহলে সাখে সাথে সেই আইন দ্বারা তাদের গ্রেফতার করে বিচারের সম্মুখীন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ধর্ম ইসলাম এবং নবী করিম (সা.) সম্পর্কে কেউ কোনো কটু কথা বললে সেই আইন দ্বারাই তার বিচার হবে।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় আইন কাউকে নিজেদের হাতে তুলে না নেওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা আইন নিজেদের হাতে তুলে নেব না, আইন দ্বারাই তাদের বিচার করে উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে দেব যাতে কখনও তারা এ ধরনের অপপ্রচার চালাতে না পারে।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকা উন্নয়নের পূর্বশর্ত উল্লেখ করে বলেন, দেশের শান্তি বিঘ্নিত হোক তা আমরা চাই না, দেশে শান্তি বজায় থাকলেই উন্নতি হবে। আর উন্নতি বজায় থাকলে সকলেই লাভবান হবে।
তথ্যসূত্র : বাসস
Discussion about this post