৭১ বাংলাদেশ ডেস্কঃনগরীর ডবলমুরিং থানার পাঠানঠুলি খান সাহেব সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দারোয়ানের হাতে শিশু শ্রেণির এক ছাত্রী শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। আনুমানিক ৪৫ বছর বয়সী দীপক দে নামে ব্যক্তি নগরীর ডবলমুরিং থানার পাঠানটুলি খান সাহেব সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রহরী।
বুধবার সকালে ওই স্কুলের কম্পাউন্ডেই অবস্থিত সরকারি প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির হোসেন জানান, খবর শুনে আমরা স্কুলে পুলিশ পাঠিয়েছি। কিন্তু সে পালিয়ে গেছে। তাকে ধরতে কয়েকটি টিম অভিযান শুরু করেছে।
স্কুল ভবনটিতে সকাল সাতটা থেকে ১১টা পর্যন্ত প্রাথমিকের ও পরে মাধ্যমিক বিভাগের পাঠদান হয়। দীপক দুই বিভাগেই প্রহরীর দায়িত্ব পালন করেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা লিপি মহাজন জানান, প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির ছাত্রী ওই শিশুকে সকাল পৌনে ৭টার দিকে স্কুলের দ্বিতীয় তলায় নিপীড়ন করে দীপক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, স্কুল ভবনের চতুর্থ তলায় চার ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করেন দীপক। সেখান থেকে তিন জন দৌড়ে চলে গেলেও ওই শিশুটিকে তিনি ধরে ফেলেন। পরে দীপক তার হাতে চাবি দিয়ে দ্বিতীয় তলার ক্লাস রুম খুলতে বলেন। ওই ছাত্রী ক্লাস রুম খুলতে গেলে দীপক তাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।
ছাত্রীটি নিচে নেমে কান্না করে অন্য শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের বিষয়টি জানালে তারা শিক্ষকদের জানান। তখন শিক্ষক ও অভিভাবকদের সামনে দীপক তার দোষ স্বীকারও করে বলে লিপি জানান। পরে সে কৌশলে পালিয়ে যায়।
এর আগে দীপকের বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ও নারী অভিভাবকদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ ছিল বলে প্রধান শিক্ষিকা লিপি জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, মেয়েকে নিয়ে স্কুলে ঢুকে তিনি ওই শিশুকে কাঁদতে দেখে কাছে গিয়ে কারণ জানার চেষ্টা করলে সে তাকে বাসায় দিয়ে আসার অনুরোধ করে। পরে তাকে ভালোভাবে জিজ্ঞেস করলে সে বিয়ষটি জানানোর পর আমরা স্কুলের শিক্ষকদের জানাই। পরে মেয়েটির অভিভাবক এসে তাকে বাসায় নিয়ে যায়।
পাঠানটুলি খান সাহেব সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, দীপক ২০১৩ সালে স্কুলে চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিল। তাকে বরখাস্ত করা হলেও ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সে আবার নিয়োগ পায়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে মৌখিক অভিযোগ ছিল। কেউ লিখিত অভিযোগ না করায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সিটি করপোরেশনকে কোনো সুপারিশ করতে পারিনি।
তিনি বলেন, স্কুলের প্রহরীর দায়িত্ব পালন করলেও দীপক ছিল বেপোরোয়া প্রকৃতির। জানাযায় বিভিন্ন সময়ে সে শিক্ষকদের সাথেও অসদাচরণ করে থাকে।