রেজাউলঃবউয়ের সাথে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে স্বামী। তার নাম শাহ আলম (৪৫)। ১৯ মার্চ পুলিশ সিলিং এর সাথে ঝুলানো অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে পোষ্টমোটেমের জন্য চমেকে প্রেরণ করেছে।
উপজেলার কদমরসুলস্থ কেশবপুর গ্রামের শরীয়তউল্লাহ মিস্ত্রির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে
জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত ধরে পটিয়ার চরলইক্ষ্যা গ্রামের শাহ আলম কদম রসুল এলাকা থেকে বিয়ে করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছে। সংসারে শাহ আলমের মায়ের সাথে বনিবনা হতো না স্ত্রী ঝর্ণা বেগমের সাথে। এ নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই সংসারে ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকতো। এটা নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার গ্রাম্য বিচার শালিশ ও হয়েছে।
গত সোমবার (১৮ মার্চ) শাহ আলম তার মাকে গ্রামের বাড়ি পটিয়ার চরলক্ষ্যাতে রেখে আসে। রাতে কদমরসুল বাড়িতে এসে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে সে ঘরের সিলিং এর সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নাহত্য করে। সকাল ৬ টার দিকে স্ত্রী রুমে গিয়ে দেখতে পান তার স্বামী সিলিং এর সাথে ঝুলে আছে।
বিষয়টি তিনি এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য জহিরুল আলমকে জানালে তিনি পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
এব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য জহিরুল আলম বলেন, শাহ আলমের স্ত্রীর সাথে তার মায়ের নিয়মিত ঝগড়া বিবাদ চলতো, আমি বেশ কয়েকবার শালিশ বিচারও করেছি। শাহ আলম মানসিক টেনশন থেকে আত্নহত্যা করতে পারে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই নাছির বলেন, আত্নহত্যার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্তবস্থায় লাশটি উদ্ধার করি এবং চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করি। ময়না তদন্ত শেষে বুঝা যাবে এটি আত্নহত্যা না হত্যা।
এটি কি আত্নহত্যা নাকি হত্যা এবিষয়ে জানতে চাইলে শাহ আলমের স্ত্রী ঝর্ণা বেগম বলেন, সে আত্নহত্যা করেছে তবে কি কারণে করেছে বুঝতে পারছি না। শাহ আলমের ঘরে দুই ছেলে এক মেয়ে রয়েছে বলে জানাগেছে ।এলাকাবাসি জানান মানসিক টেনশন থেকে আত্নহত্যা করতে পারে ।
Discussion about this post