আগামী ৩০ জুলাই রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে ‘উত্তম’ ভোট হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। তিনি বলেন, ‘খুলনা ও গাজীপুরে নির্বাচন অত্যন্ত ভালা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনও বলেছে, আপনারাও বলেছেন (মিডিয়া) নির্বাচন ভালো হয়েছে। আমরা বলি গুড, বেটার, বেস্ট। ভালো, উত্তম, সর্বোত্তম। গাজীপুর ও খুলনায় নির্বাচন ভালো হয়েছে। এখন আমরা বলবো বেটার করার চেষ্টা করবো। আরও ভালো করার চেষ্টা করবো।’
বুধবার বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক করেন।
আগামী তিন সিটি নির্বাচন কেমন আশা করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘আমরা সবসময় নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ আস্থা রাখি। আমাদের নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে, সুন্দরভাবে নির্বাচন করছে। আমরা নির্বাচন কমিশনে এসেছিলাম সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য আমরা কীভাবে তাদের সহযোগিতা করতে পারি সেটা বলার জন্য।’
ইমাম বলেন, ‘সুষ্ঠু-অবাধ নির্বাচনের জন্য আমাদের যা করা দরকার তাই করবো। যা করছি তার বাইরে আরও কিছু করার থাকলে তাই করবো। অনেক সময় বিশেষ করে একটি দল কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন বক্তব্য দেয়। নির্বাচনকে ছোট করলে আমরা ছোট হই, জাতি ছোট হয়।’
বিএনপির অভিযোগ আপনি কমিশনকে সহযোগিতা নয়, নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করতে ইসিতে আসেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইমাম বলেন, ‘আমরা কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করি না। কারো চরিত্রও হরণ করি না। আপনারাই দেখেছেন আমি কী করছি।’
‘যেহেতু্ এই সরকারের আমলে নির্বাচন হচ্ছে এবং এই নির্বাচন কমিশনও গঠিত হয়েছে এই সরকারের সময়, কাজেই আমাদের ওপর দায়িত্ব অনেক বেশি। আমরা বারে বারে (ইসিকে) তাদের বলছি, আমরা চাই নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি সমুন্নত থাকুক। আরও উঁচু হোক। এরপরতো রয়ে গেছে আরও নির্বাচন, সাধারণ নির্বাচন, তখনতো নির্বাচন কমিশনকে শক্তহাতে অনেক কিছু করতে হবে।’
বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজশাহী সিটি নির্বাচনে খুলনা ও গাজীপুর সিটি মেয়রের প্রচারে অংশ নিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেনি। গাজীপুর সিটি মেয়র এখনও শপথ নেননি। আর খুলনা সিটি মেয়র শপথ নিলেও দায়িত্বভার গ্রহণ করননি। কাজেই তারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তিন সিটি নির্বাচনে পুলিশ প্রশাসন শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে।’
আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন রশিদুল আলম, আবদুস সোবহান গোলাপ, হাছান মাহমুদ ও এবিএম রিয়াজুল কবীর কাওছার।
